আমাদের সমাজ নানাবিধ কুসংস্কারে ভরপুর। কিছু মানুষ কল্যাণের আশায় মাজারের ওসিলায় দু‘আ করতে যাচ্ছে অথচ তারা নিজেকে মুসলিম মনে করেছে। কিছু মানুষ মুহাম্মাদ (সা.) কে সর্বদা সকল স্থানে উপস্থিত হতে পারে এবং সকল গায়েব জানে বলে বিশ্বাস করছে অথচ নিজেকে মুসলিম মনে করছে। আবার কিছু মানুষ পীরসাহেব মুরিদের সকল কিছু সম্পর্কে খবর রাখে এটা বিশ্বাস করছে অথচ নিজেকে মুসলিম মনে করছে।
আবার সমাজের আরেক শ্রেণীর লোক যারা আল্লাহর উলুহিয়াত, রুবুবিয়তে শিরক করে জীবনের বিস্তীর্ণ অঙ্গনে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষানীতি, সমরনীতি, বিচার ব্যবস্থাসহ সকল বড় বড় জায়গায় তারা তাগুতের অনুসরণ করছে অথচ নিজেকে (ব্যক্তি জীবনে কিছু আনুষ্ঠানিক ইবাদাত করেই) মুসলিম মনে করছে এবং বুজুর্গও ভাবছে নিজেকে।
এ তো গেল দুই শ্রেণীর কথা কিন্তু আরেক শ্রেণী হলো কুরআন সুন্নাহ দলিলসহকারে অধ্যয়নের পরেও তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে। আর ইকামাতে দ্বীনের অনুসারীদের এ দোষ সে দোষ খুঁজে বেড়ায়। তারা ইসলামের সকল বিধান ব্যক্তি জীবনে দলিলসহকারে মানতে তাগিদ দেয়। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে নাকি ইসলাম কায়েমের ঝুঁকি নেয়ার দরকার নেই, এটা নাকি আল্লাহর পক্ষ থেকে আলাদা দান বিশেষ।
এই গ্রন্থতে প্রথমে বৈজ্ঞানিক যুক্তিতে স্রষ্টার অস্তিত্ব প্রমাণ করা হয়েছে। দ্বিতীয়ত মানব জীবনে ইসলামের প্রয়োজনীয়তা কী সে সম্পর্কে আংশিক দলিলসহকারে আলোচনা করা হয়েছে। তারপর মূল বিষয়ের উপরে আলোচনা এবং সবশেষে শিরকের একটা সংক্ষিপ্ত তালিকা ও ভ্রান্তদের কিছু পরিচয় তুলে ধরা হয়েছে যা জানা অত্যধিক জরুরি। দলিল হিসেবে কুরআনের আয়াত উচ্চারণসহ তুলে ধরা হয়েছে এবং অন্যান্য দলিলে শুধু অর্থ তুলে ধরা হয়েছে।